অত্র আপীলটি দো-তরফা শুনানীঅন্তে আংশিক মঞ্জুর করা হলো। এতদ্বারা কমিশনার, কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম এর গত ২৯/০৩/২০১৬ খ্রিঃ তারিখের প্রদত্ত আদেশ নং-২৭৭ সংশোধনপূর্বক নিম্নরূপ আদেশ প্রদান করা হলো- আপীলকারী যেহেতু যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৩(১০) অনুযায়ী ২৩৪ (দুইশত চৌত্রিশ) গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার শুল্ক করাদি পরিশোধ সাপেক্ষে আমদানি করতে পারেন সেহেতু আলোচ্য ক্ষেত্রে আপীলকারীর প্রতি নমনীয় মনোভাব পোষণপূর্বক আনীত স্বর্ণার এর মধ্যে ২৩৪ (দুইশত চৌত্রিশ) গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার যথাযথ শুল্ক ক

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ

কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইব্যুনাল

জীবন বীমা ভবন (৪র্থ তলা)

১০, দিলকুশা বা/এ, ঢাকা-১০০০

www.cevt.gov.bd

Email: registrarcevt@yahoo.com

 

বেঞ্চ-২

নথি নং: সিইভিটি/কেইস (কাস)-৪২৭/২০১৬/                                              তারিখঃ

 

রায় আদেশের শিরোভাগ

 

উপস্থিত সদস্য                                                                : ১। মারগূব আহমদ, প্রেসিডেন্ট সদস্য (টেকনিক্যাল)

                                                                     ২। মোঃ আবদুল হান্নান, সদস্য-বিচার (জেলা দায়রা জজ)

১।  আপীলকারী/আবেদনকারী                                                :  মোঃ শাহাবউদ্দিন,

                                                                       পিতাঃ আজাহার মিয়া,

                                                                        ৫-বি/১৫, শহিদ সলিমুল্লাহ রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।

২।  প্রতিবাদী/রেসপনডেন্টপক্ষ                                                 :  কমিশনার, কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম।

৩। আপীলকারী/আবেদনকারীর প্রতিনিধি                                :  মোঃ ওয়াজেদ আলী, এ্যাডভোকেট।

৪।  প্রতিবাদী/রেসপনডেন্টের প্রতিনিধি                                      :  মোঃ ফয়সাল বিন রহমান, ডেপুটি কমিশনার।

৫।  মামলার শুনানী গ্রহণের তারিখ                                           :  ০৮/০৯/২০১৯ খ্রিঃ।

৬। মামলার রায় প্রদানের তারিখ                                             :  ২৫/০৩/২০২০ খ্রিঃ।

                                                                          ১১ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।

৭।  তর্কিত আদেশ নং, তারিখ এবং আদেশ প্রদানকারীর বর্ণনা       : কমিশনার, কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম কর্তৃক ২৯/০৩/২০১৬খ্রিঃ তারিখে প্রদত্ত আদেশ নং- ২৭৭।

৮। বিবেচনাধীন উপস্থাপিত নথিপত্র                                         :  কাঃ হাঃ, চট্টগ্রাম এর নথি নং: এস -৪১৩/ষ্টাফ/কাস/১৪-১৫।

 

ট্রাইব্যুনালের আদেশ

 

কমিশনার, কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম কর্তৃক ২৯/০৩/২০১৬ খ্রিঃ তারিখে প্রদত্ত তর্কিত আদেশ নং- ২৭৭ দ্বারা সংক্ষুব্ধ হয়ে আপীলকারী পক্ষ অত্র ট্রাইব্যুনালে আপীল মামলাটি দায়ের করেন।

 

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ

 

গত ২৪/০৪/২০১৫ খ্রিঃ তারিখে ফ্লাইট নং- FZ-589 (দুবাই-চট্টগ্রাম) এর যাত্রী জনাব মোঃ শাহাবউদ্দিন (পাসপোর্ট নং- AE 6018610) শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, চট্টগ্রামের গ্রীন চ্যানেল অতিক্রমের পূর্বেই শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ আপীলকারী মোঃ শাহাবউদ্দিনের দেহ তল্লাশী করে ০৪ (চার)টি (প্রতিটি ১০ তোলা ওজনের সর্বমোট ৪০ তোলা = ৪৬৬.৫৬ গ্রাম) স্বর্ণবার উদ্ধার করেন। শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণের মতে, আটককৃত মালামাল যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১২ এর বিধি (১০) বিধি () এর লংঘনপূর্বক আমদানি করেন, যা দি কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর Section 2(S) এর বর্ণনামতে চোরাচালানের শামিল এবং একই এ্যাক্টের Section-16 The Imports & Exports (Control) Act, 1950 এর Section 3(1) এবং The foreign Exchange Regulation Act, 1947 এর Section 8(1) বর্ণিত বিধানসমূহ লংঘন করায় উক্ত স্বর্ণবারগুলি আটক করা হয়। আটককৃত স্বর্ণবার কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামের কাস্টোডিয়ান শাখায় ডিএম নং-০১১২৭৬১, তারিখঃ ২৪/০৪/২০১৫ খ্রিঃ মূলে জমা প্রদান করা হয়; যার লট নং- ২১/২০১৫ (ভি), তারিখঃ ২৯/০৪/২০১৫ খ্রিঃ। জমা পরবর্তীতে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে আটককারী কর্তৃপক্ষ রেসপনডেন্ট দপ্তরে তথা কমিশনার, কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম এর নিকট একটি আটক প্রতিবেদন দাখিল করেন, যার আটক মামলা নং- ১৯/১৫, তারিখঃ ২৬/০৪/২০১৫ খ্রিঃ। এর প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ কমিশনার আপীলকারীর বরাবর কারণ দর্শানো নোটিশ জারী করেন। আপীলকারী উক্ত কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদান করেন এবং বিজ্ঞ কমিশনার এর নিকট শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ কমিশনার সার্বিক বিষয় পর্যালোচনায় গত ২৯/০৩/২০১৬ খ্রিঃ তারিখে আদেশ নং- ২৭৭ এর মাধ্যমে The Customs Act, 1969 এর Section-156(1) এর Clause (8) মোতাবেক আটককৃত স্বর্ণবার ০৪ (চার) টি সরাসরি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদান করেন এবং আপীলকারীর উপর ,০০,০০০/- (দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ড আরোপ করে আদেশ প্রদান করেন। বিজ্ঞ কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত উক্ত আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে আপীলকারীপক্ষ অত্র আপীলাত ট্রাইব্যুনালে আপীলটি দায়ের করেন।

 

বিচার্য বিষয়

 

১।  কমিশনার কর্তৃক ২৯/০৩/২০১৬ খ্রিঃ তারিখে প্রদত্ত তর্কিত আদেশ আইন বিধি সংগত হয়েছে কিনা?

২।  আপীলকারীপক্ষ প্রার্থনা মোতাবেক প্রতিকার পেতে পারেন কিনা?

 

পর্যালোচনা সিদ্ধান্ত

 

বিচার্য বিষয় নং ২:

পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বিধায় আলোচনার সুবিধার্থে বিচার্য বিষয়দ্বয় একত্রে গ্রহণ করা হলো। শুনানীকালে উভয় পক্ষের উপস্থিত বিজ্ঞ প্রতিনিধির পেশকৃত আর্গুমেন্ট শোনা হয়। নথিতে দাখিলকৃত উভয় পক্ষের কাগজপত্র বিজ্ঞ কমিশনার কর্তৃক ২৯/০৩/২০১৬ খ্রিঃ তারিখে প্রদত্ত তর্কিত আদেশ পর্যালোচনা করা হয়।

শুনানীকালে আপীলকারী পক্ষের বিজ্ঞ প্রতিনিধি নিবেদন করেন যে, আপীলকারী একজন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী যাত্রী, আপীলকারীর পাসপোর্ট যার প্রমাণ বহন করে। আপীলকারী গত ২৪/০৪/২০১৫ খ্রিঃ তারিখে FZ589 ফ্লাইটযোগে .৩৫ মিঃ শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর চট্টগ্রামে অবতরণ করেন। এয়ারপোর্টে পা দিতেই পোষাকধারী এবং সাধারণ পোষাকে আপীলকারীকে জিজ্ঞাস করেন, আপীলকারীর নিকট স্বর্ণবার আছে কিনা। উত্তরে আপীলকারী জানান জি স্বর্নবার আছে (ধারা-১৩৯) ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতেই তারা আপীলকারীকে হাত ধরে ব্যাগেজ কাউন্টারে নিয়ে যায় এবং আপীলকারী ঘোষণাপত্র দেখান যাও তারা নিয়ে যায়। জোর করে বলেন স্বর্ন বেশী এনেছেন পাবেন না। আপীলকারীর ঘোষনাপত্র তাঁরা নিয়ে গেছেন। এছাড়া F.M.J ঘোষণা দেয়ার সুযোগ না দিয়ে ধরে নিয়ে গেছে ব্যাগেজ কাউন্টারে, যা কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লেখ আছে। আপীলকারী স্বেচ্ছায় স্বর্ণ পকেট হতে বের করে দেখান এবং ট্যাঙ দিতে চান কিন্তু আপীলকারীকে ট্যাঙ প্রদানের সুযোগ প্রদান না করেই তা আটক করা হয়। এক্ষেত্রে আপীলকারীকে প্রাপ্য ব্যাগেজ সুবিধা দেয়া হয় নাই।

 

আপীলকারী আরো নিবেদন করেন যে, স্বর্ণ আমদানী নিষিদ্ধ পণ্য নয়। স্বর্ণবার এইচএসকোড ৭১০৮.১৩.০০ এর অধীন আমদানী নীতি আদেশ, ২০১২-২০১৫ মতে স্বর্ণবার আমদানীযোগ্য পন্য, যা শুল্কায়ন না করে আটক স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুসারে একজন যাত্রী ০২ (দুই) কেজি স্বর্ণবার সঙ্গে বহন করতে পারে এবং শুল্ক কর আদায়যোগ্য। তর্কিত আটক রশিদ এবং আটক প্রতিবেদন- যেসব আইন উল্লেখ করা হয়েছে, তার কোনটাই আপীলকারী ভঙ্গ করেন নাই। আলোচ্যক্ষেত্রে ঘোষিত পন্য বৈধ পথে বৈধভাবে আমদানীকৃত এবং ঘোষিত তাই চোরাচালান সংঘটিত হয় নাই।

এছাড়া শুনানীকালে আপীলকারীপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংকের স্মারক নং-এফইপিডি (আমদানি নীতি)/১২৫/ ২০১৪-১৭৬, তারিখঃ ০৪/০৩/২০১৪ খ্রিঃ, কমিশনার, কাস্টম হাউস, ঢাকা এর বিচারাদেশ নং-১৪৯/কাস/২০১৯, তারিখঃ ১২/০৩/২০১৯ খ্রি, বিচারাদেশ নং-১৮৯/কাস/২০১৯, তারিখঃ ০৩/০৪/২০১৯ খ্রিঃ, বিচারাদেশ নং-৩১৮/কাস/২০১৯, তারিখঃ ২০/০৫/২০১৯ খ্রিঃ ফটোকপি দাখিল করে নিবেদন করেন যে, অন্যান্য বন্দরের মাধ্যমে আগত যাত্রীর ক্ষেত্রে উপরোক্ত ০৩টি বিচারাদেশের মাধ্যমে ২৩৪ (দুইশত চৌত্রিশ) গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার যথাযথ শুল্ক করাদি আদায় সাপেক্ষে যাত্রীর অনুকূলে ফেরতের আদেশ প্রদান করা হয়েছে বিধায় আপীলকারীও একইরূপভাবে ২৩৪ (দুইশত চৌত্রিশ) গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার যথাযথ শুল্ক করাদি পরিশোধ সাপেক্ষে পাওয়ার হকদার। অন্যথায় আপীলকারীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে। সবশেষে আপীলকারী আপীলটি মঞ্জুর করার জন্য ট্রাইব্যুনালের নিকট প্রার্থনা জানান।

 

অপরদিকে, রেসপনডেন্ট পক্ষের বিজ্ঞ প্রতিনিধি নিবেদন করেন যে, শাহ আমানত বিমানবন্দর, চট্টগ্রামে গত ২৪/০৪/২০১৫ খ্রিঃ তারিখে অবতরণকৃত ফ্লাইট নং-FZ-589 এর যাত্রী জনাব মোঃ শাহাবউদ্দিন (পাসপোর্ট নং- AE 6018610) কাস্টমস হলের গ্রীন চ্যানেল লাউঞ্জ অতিক্রমকালে শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা যাত্রীকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং কাস্টমস ব্যাগেজ কাউন্টারে এনে যাত্রীর দেহ তল্লাশি করে ঘোষনা বহির্ভূতভাবে ০৪ (চার)টি (প্রতিটি ১০ তোলা ওজনের সর্বমোট ৪০ তোলা= ৪১৬.৫৬ গ্রাম) স্বর্ণবার আটক করতঃ আটককৃত স্বর্ণবার কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামের কাস্টোডিয়ান শাখায় ডিএম নং-০১১২৭৬১, তারিখঃ ২৪/০৪/২০১৫ খ্রিঃ মূলে জমা প্রদান করা হয়; যার লট নং-২১/২০১৫ (ভি), তারিখঃ ২৯/০৪/২০১৫ খ্রিঃ। জমা পরবর্তীতে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে আটককারী কর্তৃপক্ষ রেসপনডেন্ট দপ্তরে তথা কমিশনার, কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম এর নিকট একটি আটক প্রতিবেদন দাখিল করেন, যার আটক মামলা নং-১৯/১৫, তারিখঃ ২৬/০৪/২০১৫ খ্রিঃ। এক্ষেত্রে রেসপনডেন্টপক্ষ দেখতে পায় যে, আটককৃত মালামাল যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১২ এর বিধি (১০) বিধি () এর লংঘনপূর্বক আমদানি করেন, যা দি কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ঝবপঃরড়হ () এর বর্ণনামতে চোরাচালানের শামিল এবং একই এ্যাক্টের Section-16 The Imports & Exports (Control) Act, 1950 19 Section 3(1) 47: The foreign Exchange Regulation Act, 1947 এর Section 8(1) বর্ণিত বিধানসমূহ লংঘন করায় উক্ত স্বর্ণবারগুলি আটক করা হয়। এর প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ কমিশনার আপীলকারীর বরাবর কারণ দর্শানো নোটিশ জারী করেন। আপীলকারী উক্ত কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদান করেন এবং বিজ্ঞ কমিশনার এর নিকট শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ কমিশনার সার্বিক বিষয় পর্যালোচনায় গত ২৯/০৩/২০১৬ খ্রিঃ তারিখে আদেশ নং- ২৭৭ এর মাধ্যমে The Customs Act, 1969 এর Section-156(1) এর Clause (8) মোতাবেক আটককৃত স্বর্ণবার ০৪ (চার) টি সরাসরি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদান করেন এবং আপীলকারীর উপর ,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা অর্থদন্ড আরোপ করে আদেশ প্রদান করেন, যা যথাযথ, সঠিক আইনানুগ হয়েছে।

 

উভয়পক্ষের বিজ্ঞ প্রতিনিধির উল্লিখিত বক্তব্য বিবেচনায় নিয়ে নথিতে রক্ষিত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, গত ২৪/০৪/২০১৫ খ্রিঃ তারিখে ফ্লাইট নং- FZ-589 (দুবাই-চট্টগ্রাম) এর যাত্রী জনাব মোঃ শাহাবউদ্দিন (পাসপোর্ট নং- AE 6018610) শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর , চট্টগ্রামের গ্রীন চ্যানেল অতিক্রমের পূর্বেই শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন আপীলকারী মোঃ শাহাবউদ্দিনের দেহ তল্লাশী করে ০৪ (চার)টি (প্রতিটি ১০ তোলা ওজনের সর্বমোট ৪০ তোলা= ৪৬৬.৫৬ গ্রাম) বর্ণবার উদ্ধার করেন। শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণের মতে, আটককৃত মালামাল যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১২ এর বিধি (১০) বিধি () এর লংঘনপূর্বক আমদানি করেন, যা দি কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ঝবপঃরড়হ () এর বর্ণনামতে চোরাচালানের শামিল এবং একই এ্যাক্টের Section-16 The Imports & Exports (Control) Act, 1950 495 Section 3(1) 97. The foreign Exchange Regulation Act, 1947 এর Section 8(1) বর্ণিত বিধানসমূহ লংঘন করায় উক্ত স্বর্ণবারগুলি আটক করা হয়। আটককৃত স্বর্ণবার কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামের কাস্টোডিয়ান শাখায় ডিএম নং-০১১২৭৬১, তারিখঃ ২৪/০৪/২০১৫ খ্রিঃ মূলে জমা প্রদান করা হয়; যার লট নং-২১/২০১৫ (ভি), তারিখঃ ২৯/০৪/২০১৫ খ্রিঃ। জমা পরবর্তীতে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে আটককারী কর্তৃপক্ষ রেসপনডেন্ট দপ্তরে তথ্য কমিশনার, কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম এর নিকট একটি আটক প্রতিবেদন দাখিল করেন, যার আটক মামলা নং-১৯/১৫, তারিখঃ ২৬/০৪/২০১৫ খ্রিঃ। এর প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ কমিশনার আপীলকারীর বরাবর কারণ দর্শানো নোটিশ জারী করেন। আপীলকারী উক্ত কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদান করেন এবং বিজ্ঞ কমিশনার এর নিকট শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ কমিশনার সার্বিক বিষয় পর্যালোচনায় গত ২৯/০৩/২০১৬ খ্রিঃ তারিখে আদেশ নং- ২৭৭ এর মাধ্যমে The Customs Act, 1969 এর Section-156(1) এর Clause (8) মোতাবেক আটককৃত স্বর্ণবার ০৪ (চার)টি সরাসরি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদান করেন এবং আপীলকারীর উপর ,০০,০০০/- (দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ড আরোপ করে আদেশ প্রদান করেন। বিজ্ঞ কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত উক্ত আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে অপীলকারীপক্ষ অত্র আপীলাত ট্রাইব্যুনালে আপীলটি দায়ের করেন।

 

ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মূল নথিতে সংরক্ষিত আটক রশিদ, আটক প্রতিবেদন, কারণ দর্শানো নোটিশ, নোটিশের জবাব, তর্কিত বিচারাদেশসহ ট্রাইব্যুনালে শুনানীকালে আপীলকারী কর্তৃক দাখিলকৃত দলিলাদি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, বিজ্ঞ কমিশনার তর্কিত বিচারাদেশে যাত্রী জনাব মোঃ শাহাবউদ্দিন (পাসপোর্ট নং- AE 6018610) এর বিরুদ্ধে চোরাচালান এর অভিযোগ আনয়ন করে The Customs Act, 1969 এর Section-156(1) এর Clause (8) মোতাবেক আটককৃত স্বর্ণবার ০৪ (চার) টি সরাসরি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদান করেন এবং আপীলকারীর উপর ,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা অর্থদন্ড আরোপ করে আদেশ প্রদান করেন। এক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল পর্যালোচনায় দেখতে পায় যে, আপীলকারীপক্ষ আপীল আবেদনে শুনানীকালে উল্লেখ করেছেন যে, “এয়ারপোর্টে পা দিতেই পোষাকধারী এবং সাধারণ পোষাকে আপীলকারীকে জিজ্ঞাস করেন, আপীলকারীর নিকট স্বর্ণবার আছে কিনা। উত্তরে আপীলকারী জানান জ্বি স্বর্নবার আছে। ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতেই তারা আপীলকারীকে হাত ধরে ব্যাগেজ কাউন্টারে নিয়ে যায় এবং আপীলকারী ঘোষণাপত্র দেখা যাও তারা নিয়ে যায়। জোর করে বলেন স্বর্ন বেশী এনেছেন পাবেন না। আপীলকারীর ঘোষনাপত্র তারা নিয়ে গেছেন। এছাড়া F.M.J ঘোষণা দেয়ার সুযোগ না দিয়ে ধরে নিয়ে গেছে ব্যাগেজ কাউন্টারে, যা কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লেখ আছে। আপীলকারী স্বেচ্ছায় স্বর্ণ পকেট হতে বের করে দেখান এবং ট্যাঙ দিতে চান কিন্তু আপীলকারীকে ট্যাঙ প্রদানের সুযোগ প্রদান না করেই তা আটক করা হয়। এক্ষেত্রে আপীলকারীকে প্রাপ্য ব্যাগেজ সুবিধা দেয়া হয় নাই।

 

এক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল উভয়পক্ষের বক্তব্য পর্যালোচনায় দেখতে পায় যে, আপীল কারীর বিরুদ্ধেচোরাচালানএর যে অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে তার প্রেক্ষিতে তর্কিত আটক রশিদ পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, উক্ত আটক রশিদে এই মর্মে উল্লেখ আছে যে, “ব্যাগেজ বহির্ভূতভাবে আমদানী করায় গ্রীণ চ্যানেল অতিক্রমের পূর্বেই শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তাগণ কর্তৃক আটক করা হয়েছে।অর্থাৎ এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, আটক রশিদ অনুযায়ী আপীলকারী গ্রীণ চ্যানেল অতিক্রমের পূর্বেই শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তাগণ কর্তৃক আপীলকারীকে আটক করা হয়। এক্ষেত্রে চোরাচালান সংঘটিত হয় নাই। এছাড়া আপীলকারীর বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত কর্মকর্তাগণ আপীলকারীর নিকট স্বর্ণবার আছে কিনা জানতে চাইলে আপীলকারী স্বর্ণবার থাকার বিষয়টি স্বীকার করে শুল্ক করাদি পরিশোধের জন্য জানান। এক্ষেত্রে কর্মকর্তাগণ আপীলকারীকে হাত ধরে ব্যাগেজ কাউন্টারে নিয়ে যায় এবং আপীলকারী ঘোষণাপত্র দেখান যাও কর্মকর্তাগণ নিয়ে যায়। এক্ষেত্রে F.M.J ঘোষণা দেয়ার সুযোগ না দিয়েই ব্যাগেজ কাউন্টারে আপীলকারীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, তর্কিত স্বর্ণ বার পণ্যটি আমদানী নিষিদ্ধ কোন পণ্য নয়। শুল্ক করাদি পরিশোধ স্বাপেক্ষে শুল্কায়নযোগ্য। এক্ষেত্রে আপীলকারীর একমাত্র অপরাধ FM Form ঘোষণা না দেওয়া। অথচ তিনি যদি FM For 7 ঘোষণা দিতেন তাহলে শুল্ক কর্তৃপক্ষের আদৌ কিছুই করণীয় ছিলো না। অর্থাৎ যাত্রী যদি FM Form ঘোষণা দিতেন তাহলে এটি আটক, বাজেয়াপ্ত, অর্থদন্ড কোনটিরই মুখোমুখি হতে হতো না। FMJ Form ঘোষণা দেওয়া বিষয়ে যাত্রীর বক্তব্য হচ্ছে, তিনি ঘোষণা দেবার সুযোগ পাননি। ঘোষণা দিতে কাউন্টারে যাবার পূর্বেই তাকে কোন সুযোগ না দিয়ে জব্দ করা হয়। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হচ্ছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রী কোন ফরম ঘোষণা না দিয়ে কাস্টমস হলের গ্রীণ চ্যানেল অতিক্রম করার সময় শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ আপীলকারীকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জব্দ করা হয়। কিন্তু আটক রশিদ এর বর্ণনা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে যে, আপীলকারী গ্রীণ চ্যানেল অতিক্রমের পূর্বেই শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তাগণ কর্তৃক আপীলকারীকে আটক করা হয়। অর্থাৎ আলোচ্যক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দাবী সঠিক নয় মর্মে দেখা যায়। এক্ষেত্রে উভয়পক্ষের উপরোক্ত বক্তব্য পর্যালোচনা করলে ঘোষণা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রকৃতপক্ষে আপীলকারী ঘোষণা দেবার সুযোগ পেয়েছেন মর্মে নিশ্চিত হওয়া যায় না। ঘোষণা দিয়ে স্বর্ণবার বহন করা যেহেতু কোন অপরাধ নয় সেহেতু যাত্রী ঘোষণা দিবেন এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস অভিযান পরিচালনা করায় যাত্রী ঘোষণা দেবার সুযোগ পাননি প্রকারান্তরে তাই বুঝা যায়। ব্যাগেজ বিধির আলোকে তার প্রাপ্যতা অনুসারে শুল্ক করাদির পরিশোধ করার সুযোগ দেওয়া হয় নাই।

 

পর্যালোচনায় আরো দেখা যায় যে, শুনানীকালে আপীলকারীপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংকের স্মারক নং-এফইপিডি (আমদানি নীতি)/১২৫/২০১৪-১৭৬, তারিখঃ ০৪/০৩/২০১৪ খ্রিঃ, কমিশনার, কাস্টম হাউস, ঢাকা এর বিচারাদেশ নং-১৪৯/কাস/২০১৯, তারিখঃ ১২/০৩/২০১৯ খ্রিঃ, বিচারাদেশ নং-১৮৯/কাস'২০১৯, তারিখঃ ০৩/০৪/২০১৯ খ্রিঃ, বিচারাদেশ নং-৩১৮/কাস/২০১৯, তারিখঃ ২০/০৫/২০১৯ খ্রিঃ ফটোকপি দাখিল করে নিবেদন করেন যে, অন্যান্য বন্দরের মাধ্যমে আগত যাত্রীর ক্ষেত্রে উপরোক্ত ০৩টি বিচারাদেশের মাধ্যমে ২৩৪ (দুইশত চৌত্রিশ) গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার যথাযথ শুল্ক করাদি আদায় সাপেক্ষে যাত্রীর অনুকূলে ফেরতের আদেশ প্রদান করা হয়েছে বিধায় আপীলকারীও একইরূপভাবে ২৩৪ (দুইশত চৌত্রিশ) গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার যথাযথ শুল্ক করাদি পরিশোধ সাপেক্ষে পাওয়ার হকদার। এক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল পর্যালোচনায় দেখতে পায় যে, শুনানীকালে আপীলকারী, একজন যাত্রী কেজি পর্যন্ত স্বর্ণ বার আনতে পারেন মর্মে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তা আলোচ্যক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক পত্র নথি নং-এফইপিডি (আমদানি নীতি)/১২৫/২০১৪-১৭৬, তারিখ ০৪/০৩/২০১৪ এর ব্যাখ্যা অনুযায়ীমূলত বিদেশে কর্মরত অনিবাসী বাংলাদেশীদের জন্যই আলোচ্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বিষয়ে আমদানি নীত আদেশ ২০১২-২০১৫ এর অনুচ্ছেদ () গ্রহনযোগ্য। উক্ত অনুচ্ছেদের () বলা হয়েছে যে বিদেশে কর্মরত অনিবাসী বাংলাদেশী বৈদেশিক মুদ্রা উপার্যনকারী হিসাবে নাম, পাসপোর্ট নম্বর, পেশা, বাৎসরিক আয় বিদেশে অবস্থানের মেয়াদ প্রভৃতি উল্লেখপূর্বক বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রত্যয়ন পত্র আনতে হবে এবং অনুচ্ছেদ () এর বিধান অনুযায়ী মূল্য পরিশােধের রসিদে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রত্যয়নপত্র থাকতে হবে। আলোচ্য ক্ষেত্রে আপীলকারী উক্ত বিধান অনুযায়ী দূতাবাসের প্রত্যয়ণপত্র দাখিল করতে পারেননি বিধায় আপীলকারীরক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের উক্ত পত্রটি প্রযোজ্য হবে না বলে ট্রাইব্যুনাল মনে করে। তবে ট্রাইব্যুনাল পর্যালোচনায় দেখতে পায় যে, আপীলকারীর দাখিলকৃত কমিশনার, কাস্টম হাউস, ঢাকা এর বিচারাদেশ নং-১৪৯/কাস/২০১৯, তারিখঃ ১২/০৩/২০১৯ খ্রিঃ, বিচারাদেশ নং-১৮৯/কাস/২০১৯, তারিখঃ ০৩/০৪। ২০১৯ খ্রিঃ, বিচারাদেশ নং:৩১৮/কাস/২০১৯, তারিখঃ ২০/০৫/২০১৯ খ্রিঃ এর মাধ্যমে যাত্রীর ক্ষেত্রে যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি (১০) অনুযায়ী ২৩৪ (দুইশত চৌত্রিশ) গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার যথাযথ শুল্ক করাদি, আরোপিত অর্থদন্ড বিমোচন জরিমানা আদায় সাপেক্ষে যাত্রীর অনুকলে ফেরতের আদেশ প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আপীলকারী যেহেতু যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি (১০) অনুযায়ী ২৩৪ (দুইশত চৌত্রিশ) গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার শুল্ক করাদি পরিশোধ সাপেক্ষে আমদানি করতে পারেন সেহেতু আলোচ্য ক্ষেত্রে আপীলকারীর প্রতি নমনীয় মনোভাব পোষণপূর্বক আনীত স্বর্ণবার এর মধ্যে ২৩৪ (দুইশত চৌত্রিশ) গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার যথাযথ শুল্ক করাদি পরিশোধের শর্তে আরোপিত অর্থদন্ড হ্রাস করতঃ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা এবং The Customs Act, 1969 এর Section 181(1) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আরোপিত বিমোচন জরিমানা বাবদ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থাৎ সর্বমোট ,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা আদায় সাপেক্ষে ফেরতের এবং যাত্রী কর্তৃক আনীত অবশিষ্ট স্বর্ণবার (৪৬৬.৫৬-২৩৪) = ২৩২.৫৬ (দুইশত বত্রিশ দশমিক পাঁচ ছয়) গ্রাম সরাসরি রাষ্ট্রের অনুকলে বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদান করা হলে যথাযথ, সঠিক আইনানুগ হবে বলে ট্রাইব্যুনাল মনে করে।

 

উল্লিখিত আলোচনা পর্যালোচনার ভিত্তিতে অত্র ট্রাইব্যুনাল এইরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, বিজ্ঞ কমিশনার, কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম কর্তৃক প্রদত্ত তর্কিত আদেশটি যথাযথ, সঠিক আইনানুগ না হওয়ায় উক্ত আদেশ হস্তক্ষেপযোগ্য। উল্লিখিত অবস্থায় অত্র আপীলটি সংশোধিত আকারে মঞ্জুরযোগ্য। এমতাবস্থায় বিচার্য বিষয়দ্বয় নিম্নরূপভাবে নিষ্পত্তি করা হলো।

 

অতএব

আদেশ হয় যে,

 

অত্র আপীলটি দো-তরফা শুনানীঅন্তে আংশিক মঞ্জুর করা হলো। এতদ্বারা কমিশনার, কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম এর গত ২৯/০৩/২০১৬ খ্রিঃ তারিখের প্রদত্ত আদেশ নং-২৭৭ সংশোধনপূর্বক নিম্নরূপ আদেশ প্রদান করা হলো-

আপীলকারী যেহেতু যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি (১০) অনুযায়ী ২৩৪ (দুইশত চৌত্রিশ) গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার শুল্ক করাদি পরিশোধ সাপেক্ষে আমদানি করতে পারেন সেহেতু আলোচ্য ক্ষেত্রে আপীলকারীর প্রতি নমনীয় মনোভাব পোষণপূর্বক আনীত স্বর্ণার এর মধ্যে ২৩৪ (দুইশত চৌত্রিশ) গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার যথাযথ শুল্ক করাদি পরিশোধের শর্তে আরোপিত অর্থদন্ড হাস করতঃ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা এবং The Customs Act, 1969- এর Section 181(1)- প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আরোপিত বিমোচন জরিমানা বাবদ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থাৎ সর্বমোট ,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা আদায় সাপেক্ষে ফেরতের আদেশ দেয়া হলো এবং যাত্রী কর্তৃক আনীত অবশিষ্ট স্বর্ণবার (৪৬৬.৫৬-২৩৪) = ২৩২.৫৬ (দুইশত বত্রিশ দশমিক পাঁচ ছয়) গ্রাম সরাসরি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদান করা হলো।

রায়ের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি জারী করা হোক।

আমাদের কথামতো লিখিত সংশোধিত।

 

 

(মোঃ আবদুল হান্নান)                                                                                   (মারগূব আহমদ)

সদস্য-বিচার (জেলা দায়রা জজ)                                                             প্রেসিডেন্ট সদস্য  টেকনিক্যাল)

 

নথি নং-সিইভিটি/কেইস (কাস)-৪২৭/২০১৬/১৬৩৮                                                                  তারিখঃ ২৫/০৩/২০২০

Contact

Location:

67/A Pioneer Road, Kakrail Dhaka.

Call:

01711945949

Loading
Your message has been sent. Thank you!